তদন্ত কি:
যখন কোন অপরাধ ঘটে যায় বা ঘটার লক্ষণ দেখা দেয় তখন এই ঘটনার শিকার বা সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা যিনি ঘটনা দেখেছেন বা শুনেছেন এমন এক বা একাধিক ব্যক্তি থানায় খবর দিবেন। অপরাধ আমলযোগ্য হলে থানা কর্তৃপক্ষ এটা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন আর আমলযোগ্য না হলে একে এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে শুধু সাধারন ডায়েরী হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়া আমলযোগ্য অপরাধের এজাহার আদালতেও দাখিল করা যায়। এই এজাহার বা সাধারন ডায়েরী করার পর ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বা পুলিশ উল্লিখিত অপরাধের সত্যতা খুঁজে দেখার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়। অর্থাৎ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেট তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে যে প্রতিবেদন দাখিল করে তাই তদন্ত প্রতিবেদন। আর এ লক্ষ্যে সংঘটিত কাজকর্মকেই বলা হয় তদন্ত।
তদন্তের পদ্ধতি:
থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার তদন্ত করার অধিকার রাখেন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিম্নপদের অন্য যে কোন অফিসার থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার দ্বারা নির্দেশিত হয়েও তদন্ত করতে পারেন। উর্ধ্বতন যেকোন অফিসারও তদন্ত করতে পারেন।
আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনার মৃত্যুর তদন্ত:
কোন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে বা কোন ব্যক্তি কর্তৃক বা প্রাণী কর্তৃক বা কোন যন্ত্র বা দুর্ঘটনার নিহত হলে বা সন্দেহ করার মতো কোন পরিস্থিতিতে মারা গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার তদন্ত করেন। দুই বা ততোধিক পার্শ্ববর্তী গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তিনি তদন্ত করবেন এবং রিপোর্ট প্রণয়ন করবেন যাতে মৃত্যুর কারণ ও অন্যান্য বিবরণ যতটা সম্ভব বর্ণিত হবে। এ রিপোর্টে তিনিসহ অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিগণ যারা একমত পোষণ করেন তারা স্বাক্ষর করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করবেন। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ থাকলে পুলিশ অফিসার লাশটিকে পরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী সিভিল সার্জনের কাছে পাঠাতে পারেন। একে ময়নাতদন্ত বলে।