Apps

Picture

১১ দিনে ক্লোলেস হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন , গ্রেফতার ২।

Picture

**সূত্র: সিংগাইর থানার মামলা নং- ২৩, তারিখ- ১৫/০১/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/ ২০১/ ৩৪ পেনাল কোড।**

[তারিখ: ২৮ জানুয়ারি ২০২২ খ্রি.]

গত ১৪/০১/২০২২খ্রিঃ বেলা অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময় সিংগাইর থানা পুলিশ সিংগাইর থানাধীন ওয়াইজনগর চকবাড়ী সাকিনস্থ জনৈক বাবুল গং এর আবাদি জমির পাশে ওয়াইজনগর হতে ফতেপুরগামী কাঁচা রাস্তার পশ্চিম পাশ সংলগ্ন খালের পানির মধ্য হতে ৩০ বছর বয়সের

অজ্ঞাতনামা মহিলার কার্টুনে প্যাকেটে ভর্তি (অনুমান ২০ দিনের) অর্ধগলিত গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন। যার প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সিংগাইর থানায় সূত্রোক্ত হত্যা মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজু হওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম-বার মহোদয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোহাঃ হাফিজুর রহমান মহোদয়-দ্বয়ের দিক নির্দেশনায় সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ রেজাউল হক, সিংগাইর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব শেখ মোঃ আবু হানিফ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/মোঃ আঃ হালিম, এএসআই/আল হেলালসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সদের সমন্বয়ে চৌকশ অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক অফিসার ইনচার্জ জনাব সফিকুল ইসলাম মোল্যার সার্বিক সহযোগিতায় ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে থাকেন।

তারই ফলশ্রুতিতে ক্লুলেস হত্যা মামলা রুজুর ১১ (এগার) দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ত আসামী ১। শেখ মাসুদ (৩৮), পিতা- মৃত শেখ সিদ্দিক @ দুলাল, মাতা- রওশনারা, সাং- ষোলঘর (খন্ডপাড়া), থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, জাতীয় পরিচয় পত্রে উল্লেখিত ঠিকানা- শ্বশুর- মৃত সিদ্দিক শিকদার, সা- তেঘরিয়া, পোঃ- রাজানগর, থানা- সিরাজদিখান, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, A/P: সাং- সোনাপুর, কাচপুর (মান্নান মেম্বার এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জ,

(এনআইডি নং-৫৫৩৫৯৪৯৮৪৫), ২। রেখা (৩৩) পিতা- মৃত সিদ্দিক শিকদার, মাতা- আজিজুন নেছা, স্বামী- শেখ মাসুদ, সাং- তেঘরিয়া, পোঃ- রাজানগর, থানা- সিরাজদিখান, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, A/P: সাং- সোনাপুর, কাচপুর (মান্নান মেম্বার এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- সোনারগাঁও,

জেলা- নারায়ণগঞ্জদ্বয়কে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোহাঃ হাফিজুর রহমান ও সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সফিকুল ইসলাম মোল্যা-দ্বয়ের ব্যাপক ও সুকৌশল জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মাসুদ নিজেই এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে পরবর্তীতে আসামী মাসুদ এর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাও থানাধীন কাঁচপুর এলাকা হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু, ডিসিস্ট এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একই সাথে আসামী মাসুদ উক্ত অজ্ঞাতনামা ডিসিস্টকে মার্জিয়া/আইরিন সনাক্ত করে যার গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর বলে উল্লেখ করে। পরবর্তীতে ডিসিস্ট মার্জিয়া আক্তার@আইরিন এর আপন বড় ভাই মহিদুর রহমান কনক, বোন লিপি আক্তার (৪০), ভগ্নিপতি আঃ রশিদদের সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা

ডিসিষ্ট এর লাশের ছবি দেখে উক্ত লাশ মার্জিয়া আক্তার@আইরিন এর বলে শনাক্ত করে। মার্জিয়ার আত্নীয় স্বজনগণ জানান যে, মার্জিয়া আক্তার@আইরিন প্রায় ৬/৭ বছর পূর্বে তাহার স্বামীকে ডিভোর্স প্রদান করে এবং নিঃসন্তান থাকায় ডেল্টাল হাসপাতালে কাজ শিখার উদ্দেশ্যে ঢাকায় বসবাস করতে থাকেন।

ডিসিস্ট মার্জিয়া আক্তার@আইরিন আসামী মাসুদের ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতো। মার্জিয়া তার আত্নীয় স্বজনদের সাথে কোন পারিবারিক সম্পর্ক না রাখায় আসামী মাসুদ তাকে একাকি পেয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মার্জিয়া আক্তার@আইরিনকে ঢাকার মিরপুর এলাকার ভাড়া বাসায় গলায় গামছা প্যাচাইয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করার পর ধারালো ছুরি দিয়া জবাই করে। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে আসামী মাসুদ তার স্ত্রী আসামী রেখার সহায়তায় ডিসিস্ট মার্জিয়া আক্তার @আইরিন এর মৃতদেহ কার্টুনে প্যাকেট করে ঘটনাস্থলে ফেলে যায়।  আসামীদ্বয়কে ফৌজদারী কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দী গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদলতে প্রেরণ করা হয়।

 
Copyright © 2023 Superintendent of police, Manikgonj. Developed by Momtaj Trading(Pvt.) Ltd.